চলতি বোরো মৌসুমে চাষিদের হিড়িক পড়ে ধানের খড় শুকানোর। আর এই কাজের জন্য বেছে নেয়া হয় শহর, গ্রাম-গঞ্জের পিচ ঢালা রাস্তাগুলোকে। তবে সড়কে শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় ছোট বড় যানবাহনসহ পথচারীদের। এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে দিনাজপুরের খানসামা-পাকেরহাট সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায়।

বুধবার (১ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ক্ষেত থেকে ধান কেটে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। পাশেই ওই সব ধান ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র (ধানের মড়াই মেশিন) দিয়ে মাড়াই করা হচ্ছে। মাড়াই শেষে ধান বাড়িতে নিয়ে গেলেও খড় সড়কের ওপরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সড়কের পাশে শুকানো হচ্ছে ওই সব খড়। আবার অনেকে খড় শুকানোর পর সড়কের পাশেই রেখেছেন। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে নানা ধরনের যানবাহন। অন্যদিকে বাড়ছে যানজটও।
এ বিষয়ে কথা হয় ইপিজেড এর শ্রমিক নিয়ে যাওয়া এক সিএনজি চালকের সাথে। তিনি সকালের সময় পত্রিকাকে বলেন,’পাকেরহাট থেকে ইপিজেড বাবুরহাট) যাওয়ার এই রাস্তা তো এমনিতেই ছোট। তারপর আবার মানুষ খড় শুকিয়ে রাস্তায় পালা করে রেখেছে। এমন অবস্থায় দুইটি গাড়ি কিভাবে আসা-যাওয়া করবে। এতে করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
একজন অটোচালক বলেন, যেভাবে রাস্তায় খড় বিছিয়ে রেখেছে, কখন যে কি হয়। গাড়ি জোরে টানতে পারছিনা। ব্যাটারির চার্জও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।
এ ছাড়াও মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক আজিজার রহমান বলেন, খড় তো এমনিতেই পিচ্ছিল, গাড়ি চালাতে ভয় হচ্ছে। আবার বৃষ্টি হলে আরো পিচ্ছিল হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে একটুর জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছি।
একজন পথচারী অভিযোগ করে বলেন, ‘ধানের সময় হলেই এই রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়। চলাচলে খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি’।